ডেস্ক নিউজ:
সহজেই রেহাই পাচ্ছেন না নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগে অভিযুক্ত ডিআইজি মিজান। অস্ত্রের মুখে জোরপূর্বক এক তরুণীকে তুলে নিয়ে নির্যাতন, বিয়ে, ৪ মাস একত্রে বসবাসের পর অস্বীকার করার মতো চাঞ্চল্যকর ঘটনা ফাঁস হওয়ায় তাকে ক্লোজড করা হয়েছে। তার এই ঘটনা এমন সময় ফাঁস হয় যখন পুলিশ সপ্তাহ চলছিল। পুলিশের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ অভিযানে ভূমিকা রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সকল মহলেই প্রশংসিত হচ্ছিল এ বাহিনী।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে। শুধু নারী কেলেঙ্কারিই নয়, অঢেল বিত্তবৈভবের খবরও বেরিয়ে আসছে তদন্তে। নানা সূত্র বলছে, পুলিশ বাহিনীর ইমেজে বড় দাগে আঁচড় বসানোর জন্য একজন মিজানই যথেষ্ট। অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারের মতো উচ্চপদে থাকা কোনো পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে এত বড় অভিযোগ অতীতে যেমন আসেনি, তেমনি তা নিয়ে ঝড়ও শুরু হয়নি। পুলিশ বিভাগের সুনাম রক্ষায় মিজানকে তার প্রতিষ্ঠানই কোনো ছাড় দিতে নারাজ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সুষ্ঠু তদন্ত এবং অভিযুক্ত হলে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা চান বলে জানা গেছে।

এর মাঝে নতুন করে সাংবাদিক ও ভুক্তভোগী নারীসহ একাধিকজনকে হত্যার হুমকি দেয়ায় ডিআইজি মিজানের উপরও ক্ষুব্ধ হয়েছেন পুলিশের শীর্ষকর্তারা। এ ঘটনায় ফৌজদারি মামলার বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে মিজানকে- এমন ধারণা পুলিশের।